আফগানিস্তান দেউলিয়া হলো।পাকিস্তান দেউলিয়া হলো। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও টালমাটাল। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা শোচণীয়। সাধারণ মানুষের একটি দৈনিক গড় হিসাব যদি আলোচনা করি :-
একজন গার্মেন্টস শ্রমীক / সাধারণ দিন মজুর
মাসিক বেতন ৮০০০ টাকা
আসুন এবার দৈনিক খরচ হিসাব করি :-
৫০০ গ্রাম চাল সর্বনিন্ম: ২৬ টাকা
১ টি ডিম : ১২.৫ টাকা
সবজি ২০০/৩০০ গ্রাম: ১০ টাকা
তেল ৫০-১০০ গ্রাম : ১০ টাকা
দৈনিক ভাড়া : ২০ টাকা
১ কাপ চা, বিসকিট,সিগারেট: ১০ টাকা
পোশাক : ২ টাকা
চিকিৎসা: ২ টাকা
বাসা ভাড়া: ৮৩.৩৩ টাকা
বিদ্যুত বিল: ১৬.৬৬ টাকা
গ্যাস: ৪৩.২৩ টাকা
সর্বোমোট: ২৪০.২২ টাকা
বাকি থাকে : ২৬.৭৮ টাকা
★ পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম মানুষ যদি একজন গার্মেন্টস শ্রমীক হয় তবে সে তার পরিবারকে বর্তমানে প্রতিদিন দিতে পারে ২৬.৭৮ টাকা যা প্রতিমাসে দ্বাড়ায় ৮০৩.৪০ টাকা।
তাহলে এই হিসাবে দ্বাড়ায় একজন শ্রমিকের কোনভাবেই পরিবার থাকা যাবে না যদি থাকে তবে তাকে প্রতিমাসে ঋণ নিতে হবে ৬৪০৩ টাকা। যা আর একজন কর্মীর বেতনের দুই তৃতীআংশের বেশি; একবার চিন্তা করুন আমরা কোথায় আছি।
বর্তমানে ঢাকা শহরের শতকরা ৭০% এর বেশি মানুষ তাদের সাধারণ ব্যয় মেটানোর ক্ষমতা রাখে না। তবে রাস্তার ৯৫% ভাগ দখল করা প্রাইভেট গাড়ির মালিকগণ এই জরিপের বাইরে।
একজন সাধারণ কর্মীর গড় মাসিক ইনকাম ১৮ থেকে ২৪ হাজার টাকা, যা এই শহরে তিন জন পরিবারের সদস্য হলে তাদের ব্যায় মেটানো সম্ভব না।
এক কেজি পল্ট্রি মুরগির দাম ২৪০ টাকা,চাল ৫৬ টাকা,আটা ৬৫ টাকা,তেল ২০০ টাকা
স্বাভাবিক ভাবেই যদি আমরা যারা ইনকাম করছি তারা নিজেরাই নিজেদের ব্যায় মেটাতে না পারি তবে পরিবার দুর্ভিক্ষের কবলে মারা তো পরবেই সাথে আমরা সবাই মারা পরবো।
তাহলে আমাদের দেশ যদি এই পর্যায়ে দেউলিয়া হয় এটা আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছুই না।
বাংলাদেশের মানুষের মাথায় চেপে বসা ঋণ সাধারণ মানুষের থেকেই নেওয়া হবে। সুফল ভোগ করা পদ্মা সেতু,পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের টাকায় করলেও টোল দেওয়ার মতো অবস্থা সাধারণ মানুষের নেই।
স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের সচেতন হওয়া উচিৎ? বাংলাদেশ ও দেউলিয়া হতে পারে।
যেমন:
ঋণ খেলাপি
খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি
বিদেশি ঋণ
ব্যয় ক্ষমতা না থাকা
রাজনৈতিক গোলযোগ
বিদেশে যাওয়ার হার বৃদ্ধি
ব্যাংক লোন না দেওয়া
ব্যাংক এ রিজার্ভ কমে যাওয়া
উক্ত সবগুলো কারণ আমাদের জানিয়ে দেয় তোমরা সবধান হও। দেশের অবস্থা ভালো হয় নয়।
আসুন আমরা কিছুটা সচেতন হয়:-
খাবার নস্ট না করি
প্রয়োজন ছাড়া খরচ না করি
সেভিংস বৃদ্ধি করি
আমদানি কমাই
আরো ১ ঘন্টা কাজ বেশি করি
উৎপাদন বাড়াই
পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করি
নদীতে মাছ ছারি
বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করি
সবাই মিলেমিশে কাজ করি
“পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন, জাতীয় পর্যায়ের ব্যক্তি পত্রিকায় মেনশন করুন” আপনার মন্তব্য জানান”