দেশে বেড়েই চলেছে শিক্ষিত বেকারের হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে স্নাতক বেকারের সংখ্যা প্রায় ৪৬ শতাংশ। এর ওপর প্রতি বছর একটি বিপুল পরিমান শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা শেষ করে নামছে চাকরির বাজারে। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্ম সংস্থানের সুযোগ না থাকায় সময়ের ব্যবধানে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে ফ্রিল্যান্সিং এই ভয়াবহ বেকারত্ব সমস্যা কিছুটা হলেও কমাতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিভাবান এবং জনপ্রিয় উদ্যোক্তা মো. রোমান সরকার। ফলে একজন বেকার তরুণ ও তার পরিবার স্বাবলম্বী হতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
মো. রোমান সরকার একাধারে জিনিয়াসপ্লাগ টেকনোলজি, বাংলাদেশ টুডেস’র প্রতিষ্ঠাতা ও জিনিয়াস আইটি ইনস্টিটিউটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ২০১৮ সালে এসপিআই থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরই এই স্টার্টআপটি শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তার জিনিয়াসপ্লাগ টেকনোলজি সফ্টওয়্যারসহ নানাবিধ পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে একটি বিশ্বস্ত নাম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
একইসঙ্গে রোমান সরকার একজন জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটার ও প্রশিক্ষক। বেকারত্ব কমানোর লক্ষ্যে তিনি সারা দেশে অন্তত ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। যাদের মধ্যে ৪০০০ এর বেশি শিক্ষিত বেকার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সুনামের সাথে আন্তর্জতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করে আসছে।
রোমান সরকার বলেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে- অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে ডেটা এন্ট্রি, কনটেন্ট রাইটিং, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এসইও, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি। বর্তমানে মার্কেটপ্লেস গুলোতে বায়ারদের অন্যতম পছন্দ বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার। তাই ধৈর্য্য, কঠোর অধ্যবাসায় ও অনুশীলনের মাধ্যমে এই সেক্টরে সফলতা পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও ছাত্র জীবন থেকে এ ধরনের কাজ গুলো শিখে আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি ভবিষ্যতে কর্ম জীবনে সফলতা পাওয়ার হার অনেক বেশি।
Referance www.dailyjanakantha.com